বদলি হলেন নীলফামারী ভূমি অফিসের কর্মচারী

নীলফামারী সদর উপজেলার ভূমি অফিসের জারিকারক (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) হাসফিয়া আক্তার বানু চৌধুরীর ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মলি আক্তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হাসফিয়াকে ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলী করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি জমির খারিজ করতে অফিসে এসেছেন। এ সময় হাসফিয়া আক্তার তার কাছ থেকে ঘুষের টাকা গুনে নিচ্ছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, আপনার কাজ হয়ে যাবে, চিন্তা করবেন না। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি ভূমি অফিসে কাজ করতে গেলে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। অনেক সময় দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। একজন কর্মচারী ঘুষ নেওয়ার পরও শুধু বদলি করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এ বিষয়টি অন্যায়ের বলে দাবি করেন তারা। পাশাপাশি, ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী আনারুল ইসলাম বলেন, আমরা ভূমি অফিসে কোনো কাজ করতে গেলে ঘুষ দিতে হয়। সরকারি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না।
এ বিষয়ে জারিকারক হাসফিয়া আক্তার বানু চৌধুরী বলেন, আমি কোনো ধরনের ঘুষ নেইনি। আমার কোনো ভিডিও ছড়িয়েছে কি না জানি না। তবে আমাকে বদলি করা হয়েছে।
নীলফামারী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মলি আক্তার বলেন, ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত রোববার তাকে বদলি করা হয়েছে।
এআরবি