শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে খুলনায় ছাত্র-জনতার উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর খুলনায় উল্লাস করেছে এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, আপ বাংলাদেশসহ অভ্যুত্থানের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন। তবে আওয়ামী লীগের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সারাদিন নগরীতে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া রাতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খুলনার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ২ হাজার ৭০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নগরীর শিববাড়ীসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ, র্যাবসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা মহড়া দেয় এবং চেকপোস্ট বসায়।
এদিকে রায় ঘোষণার পর অভ্যুত্থানের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর শেরে বাংলা সড়কে অবস্থিত শেখ হাসিনার চাচার বাড়িতে গিয়ে আগুন জ্বালিয়ে উল্লাস করে।
‘শেখ বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত ওই বাড়িটি অভ্যুত্থানের আগের দিন ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর কয়েক দফা ভাঙচুরের পরও সেখানে ভাঙা ভবন দাঁড়িয়ে আছে। আজ বিকেলে ভবনের ছাদে উঠে পুনরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পতাকা হাতে সেখানে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। একই সময়ে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে মিষ্টি বিতরণ করেন আপ বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকালে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এনসিপির একাংশের নেতাকর্মীরা। তারা শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেন।
রায় শেষে কর্মসূচির সংগঠক আহমেদ হামিম রাহাত বলেন, প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যার নির্দেশদাতার এই শাস্তি প্রাপ্য ছিল। দ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) রোকুনুজ্জামান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো নগরীতে ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে পারে। এমন সন্দেহে গতকাল পুলিশ সন্ধ্যা হতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ৮ থানার, সাদা পোশাকধারী, ট্রাফিক এবং রিজার্ভ ২ হাজার ৭০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কেউ হেঁটে, কেউ সিএনজিতে চড়ে দায়িত্ব পালন করছেন। শহর থেকে বের হওয়ার পথে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। নগরীতে নাশকতার পরিকল্পনা এবং বাস্তাবায়ন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে কোনো ছাড়া দেওয়া হবে না।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর