দুর্ঘটনায় পশু চিকিৎসক নিহত, পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ভাঙচুর

সিরাজগঞ্জের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের রায়গঞ্জ উপজেলাধীন ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পশু চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
নিহত পশু চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম (৫৫) উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের রয়হাটি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে। ভূঁইয়াগাঁতী বাসস্ট্যান্ডের কাছে তার মোটরসাইকেল একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ভাঙচুর চালায় এবং মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে উত্তরবঙ্গমুখী লেনে প্রায় ৫ কিলোমিটার এবং ঢাকামুখী দিক থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়ে যানবাহন আটকে পড়ে।
মহাসড়ক অবরোধ করার দুই ঘণ্টা পরে রায়গঞ্জ উপজেলার উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় জনগণের সাথে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন। এরপর তার আশ্বাসে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এরপর যানবাহন চলাচল শুরু হলেও মহাসড়কে ধীরগতি রয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী বুধবার পল্লী বিদ্যুৎ এর উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা আসবেন। আমরা তাদের সাথে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করবো। তাদেরকে মহাসড়ক স্বশরীরে দেখানো হবে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ এর ২০ মিনিট পরেই ক্ষুব্ধ জনগণ সড়ক ব্লক করে দেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে যানবাহনগুলো এখনো ধীরগতিতে চলছে, আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পরে ঘাতক ট্রাক চালক পালিয়ে গেছেন। তবে আমরা ট্রাকটি জব্দ করেছি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জায়গা না দেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই দু'লেনের মহাসড়কের সাবস্টেশনের সামনের অংশটি এক লেনে পরিণত হয়েছে। এতে দুই দিকের যানবাহন একই লেনে চলতে বাধ্য হয়, ফলে এ স্থানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবসময়ই বেশি থাকে।
নাজমুল হাসান/এমএএস