স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রবাসীর বাড়িতে তরুণীর অবস্থান

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে টানা তিন দিন ধরে ২৫ বছর বয়সী এক তরুণী সৌদি প্রবাসী হৃদয় হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি। সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। তবে হৃদয় বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের মমিন উল্যার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন, ফারুক হোসেন ও মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ হান্নান বলেন, এক তরুণী হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করে অবস্থান করছেন। হৃদয় পরিবারের চাপে বিষয়টি অস্বীকার করছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নারায়ণগঞ্জের হিরাজিল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তাদের বিয়েও হয়েছিল।
হৃদয়ের বাবা মমিন উল্যা বলেন, প্রেম বা বিয়ের ব্যাপারটি আমরা আগে জানতাম না। হৃদয়ও কিছু বলেনি।
মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বাবলু বলেন, হৃদয়ের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ছেলেটি এখন বিয়ের কথা অস্বীকার করছে। পরিবারও বিষয়টি মানতে চাইছে না। তবে হৃদয়ের পরিবার বিষয়টি আগে থেকেই জানতো।
তরুণী জানান, আগের স্বামী মাদকসেবী হওয়ায় তার সঙ্গে সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জের হিরাজিল এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। হৃদয়ও সেখানে চাকরি করতেন। সেখানেই তাদের প্রেম হয়। আগের সংসার ও সন্তানের কথা হৃদয় জানতো। সম্পর্কের ৮ মাস পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়, যদিও কাবিননামা হয়নি। বিয়ের পর তারা হিরাজিলে ভাড়া বাসায় থাকতেন। হৃদয়ের পরিবারও বিষয়টি জানতো। গত ঈদুল আজহার ছুটিতে হৃদয় বাড়ি যায়। বাড়ি তৈরির সময় তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেয়। ঈদের পর তাকে না জানিয়েই হৃদয় সৌদি চলে যায়। পরে বিষয়টি তাকে জানানো হয়। এ সময় তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা হন। হৃদয়ের চাপে তিনি সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য হন।
ওই তরুণী আরও বলেন, হৃদয় তার মায়ের কারণে তাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। তাই এক মাস আগে তিনি হৃদয়ের গ্রামের বাড়িতে আসেন। সেখানে তাকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। পরে আবার তিনি এসে ওঠেন। তার দাবি, সংসার করার উদ্দেশ্যেই তিনি বিয়ে করেছেন। তা না হলে এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন।
মোবাইল ফোনে হৃদয় হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তবে তিনি তাকে বিয়ে করেননি। তার আগে অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছিল, সেই সংসারের একটি সন্তানও আছে, এ কথা জানার পর তিনি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। টাকা নেওয়ার অভিযোগও সত্য নয়।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এআরবি