শয়নকক্ষে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বৃদ্ধাকে হত্যা

লক্ষ্মীপুরে গভীর রাতে বাসায় ঢুকে ছকিনা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছকিনা দক্ষিণ মজুপুর এলাকার মৃত সফি উল্যার স্ত্রী। দুই বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় তার দুই পুত্রবধূ রুবি আক্তার ও পূর্ণিমা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহতের ভাগিনা মো. রাজু জানান, তার খালা ছকিনা দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় ছেলে আল-আমিন ও ছোট ছেলে ইমরান হোসেন বিদেশে থাকেন। খালা তার বড় পুত্রবধূ রুবিকে নিয়ে একা একটি বাড়িতে থাকতেন। রাতে তারা দুইজন আলাদা কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা বাসার ভেতরে ঢুকে তার খালা ছকিনার কক্ষে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে তিনি মারা যান। আওয়াজ শুনে তার পুত্রবধূ রুবি এসে চিৎকার দিলে লোকজন চলে আসে। এর আগেই হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাসার পাশে থাকা গাছ বেয়ে হত্যাকারী ভবনে ঢুকে।
নিহতের ভাই আবু ছিদ্দিক বলেন, আমার বোনের সঙ্গে স্বর্ণালংকার ছিল। হত্যার পরও তার গলা-কানে স্বর্ণাংকার ছিল, সেগুলো নেয়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতাবসত তাকে হত্যা করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনা হলে মূল্যবান মালামাল নিয়ে যেত।
তিনি বলেন, তার ছোট ছেলে ইমরান হোসেনের স্ত্রী পূর্ণিমা তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে পারিবারিক ঝামেলা নিয়ে মামলা করে। আবার শাশুড়ি ছকিনাও তার পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পাল্টাপাল্টি মামলা নিয়ে পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টিকেও সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নারীর দুই পুত্রবধূকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে