সুদানে হামলায় আহত সেনা সদস্য মানিকগঞ্জের চুমকি

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা এলাকার চুমকি আক্তার। তিনি মাত্র ৪২ দিন আগে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সেনা সদস্য ও চুমকির স্বামী মো. ইকরামুল হোসেন বলেন, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান তার স্ত্রী। সেখানে গতকাল শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছোড়া গ্রেনেডের কয়েকটি স্প্রিন্ট তার ডান হাত ও ডান পায়ে লাগে। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের ইব্রাহিম আরাবী নামে দুই বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে। শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার সময় তিনি তার ছেলেকে শাশুড়ির কাছে রেখে যান।
শান্তিরক্ষা মিশনে আহত সেনা সদস্য চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। নাতিকে আমার কাছে রেখে গেছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, তার ডান হাত ও পায়ে আঘাত লেগেছে। সে ওই দেশের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার স্বামী কৃষিকাজ করেন। আমাদের কোনো ছেলে নেই।
এদিকে ছয় বাংলাদেশি নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন জানিয়ে রোববার তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।
নিহতরা হলেন- কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী) ও শান্ত মণ্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।
সোহেল হোসেন/এআরবি