চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বক্স ও ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. এন. এম. ওয়াসিম ফিরোজ।
ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত মিলিয়ে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সার্কিট মোড় এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা রিফাত ও সোহাগ মোটরসাইকেল যোগে সার্কিট হাউজ রোড দিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এই সময় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাদের থামার সংকেত দেয়, কিন্তু তারা ট্রাফিক পুলিশের সংকেত অমান্য করে উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় মোটরসাইকেল স্লিপ করে মহাসড়কে ট্রাকের নিচে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে রিফাত মারা যান। স্থানীয় লোকজন সোহাগকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনিও মারা যান। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শহরের শান্তিমোড় ও বিশ্বরোডে অবস্থিত পুলিশ বক্স এবং শহরের পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ছাড়াও সোনামসজিদ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে বিক্ষুব্ধ জনতার বাধায় সড়কেই পড়ে ছিল রিফাতের মরদেহ। পরে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় রিফাতের মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের যান চলাচল সচল হয়।
আশিক আলী/আরএআর