ময়মনসিংহে বিএনপিতে যোগ দিলেন ২ শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী

ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে হালুয়াঘাট পৌর শহরের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা প্রাথমিক সদস্যপদ ফরম পূরণের মাধ্যমে দলটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। নবাগতদের মধ্যে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাবেক ব্যাংকার ও চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সর্বজনীন রাজনৈতিক দল। এই দলকে শক্তিশালী করা মানে দেশকে শক্তিশালী করা। বিএনপি সব ধর্মের মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স তার বক্তব্যে সম্প্রতি ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনের অনুপস্থিতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগে এ ধরনের বর্বর ঘটনা ঘটছে। তবে ভালুকার এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা প্রকৃত বাংলাদেশের চিত্র নয়। যারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতে হবে।
হারেন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ও উত্তম কুমার বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন– বাবু দিলীপ কুমার, আনন্দ ঘোষ, স্নেহাশীষ সরকার, বাধন চন্দ্র সরকার, রঞ্জিত কুমার দেবনাথ ও প্রিন্স সাংমা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। একই সঙ্গে তিনি জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাতে ধর্মের নামে রাজনীতি করে কেউ দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মানিক এবং হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর প্রমুখ।
মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/বিআরইউ