ঢাকামুখী বিএনপি নেতাকর্মীরা, কক্সবাজার থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা

দীর্ঘ ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলের এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের মতো পর্যটন জেলা কক্সবাজারের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
তার আগমন উপলক্ষ্যে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই জেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। যাত্রায় সড়ক যানের পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছে বিশেষ ট্রেনও।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার পূর্বাচলে তারেক রহমানের নির্ধারিত সংবর্ধনস্থলে কক্সবাজারের অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়কপথে বাস ও মাইক্রোবাসের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, “আমরা অধীর আগ্রহে তারেক রহমানের অপেক্ষায় আছি। বাসে-ট্রেনে করে জেলার প্রতিটি ইউনিট থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিজ উদ্যোগে ঢাকায় যাবেন। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন সহ্য করে তিনি অবশেষে দেশে ফিরছেন, এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
এদিকে তারেক রহমানের আগমন ঘিরে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার শহরে স্বাগত মিছিল করেছে জেলা ছাত্রদল। মিছিলে ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’—এমন নানা স্লোগান দেন কর্মীরা। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান বলেন, ছাত্রদলের ৭৫টি ইউনিটের দায়িত্বশীলরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রিয় নেতাকে বরণ করবেন।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়েও ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মী সুশৃঙ্খলভাবে এই স্মরণীয় আয়োজনের অংশীদার হতে ঢাকায় উপস্থিত থাকবেন।
নেতাকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ ট্রেনটি আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বিপণন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩টি কোচের একটি স্পেশাল ট্রেন অনুমোদন করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপি জানিয়েছে, ৫০৪ আসনের এই বিশেষ ট্রেনে দলীয় নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে টিকিট কিনে ভ্রমণ করবেন।
ইফতিয়াজ নুর নিশান/বিআরইউ