খুলনা থেকে স্পেশাল ট্রেনে ঢাকায় আসবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে খুলনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় খুলনা স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে।
খুলনা রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দুলদুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় খুলনা স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে একটি স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে যাবে। খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটের এই ট্রেনে শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীরাই যাতায়াত করবেন। এটি যাত্রী সিডিউলের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সম্পূর্ণ আলাদা একটি ট্রেন। এর বগিগুলোও আলাদা থাকবে। ট্রেনটি পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকায় যাবে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নেতাকর্মীরা গত দুই-তিন দিন ধরে ঢাকায় আসা শুরু করেছেন। যে যেভাবে পারছেন, ঢাকায় যাচ্ছেন। আজও বাস, প্রাইভেটকার ও ট্রেনে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। আমি আজ বুধবার সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। সবশেষে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় খুলনা থেকে ট্রেনে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন এবং একই দিন রাত ৯টায় ঢাকা থেকে খুলনায় ফিরবেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার পথে যাত্রাকালে খুলনা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও মহানগরের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সারা দেশের মানুষ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার অপেক্ষায় রয়েছে। ১৭ বছর আগে তিনি নির্বাসনে গিয়েছিলেন। বিএনপিকে ধ্বংস করার মাইনাস টু ফর্মুলার অংশ হিসেবে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী তাকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। এরপর তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং নির্বাসনে যান। তাকে জোরপূর্বক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। এরপরও তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। ১৭ বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপিকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেছেন। দেশবাসীকেও ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তিনি বাংলাদেশে আসবেন। তিনি নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য তিনি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যা তিনি জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যে সময়ের জন্য আমরা এতদিন অপেক্ষা করেছি।
মঞ্জু বলেন, গত তিন দিন ধরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাওয়া শুরু করেছেন। তারা বাস, ট্রেন ও ব্যক্তিগত গাড়িতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের শেষ ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। সেই ট্রেনে শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীরাই যাবেন। খুলনার ছয়টি আসন থেকে অন্তত ১০ হাজার মানুষ ঢাকায় যাবেন। এরপর সাধারণ জনগণ, কর্মী ও সমর্থকরাও যাবেন। সবার লক্ষ্য তিনশো ফিট। মানুষের দৃষ্টি এখন তিনশো ফিটের দিকে। বাংলাদেশের মানুষ শুধু কর্মসূচিতে যোগ দেবে না, এর ভিত্তিতেই দেশে একটি নতুন যাত্রা শুরু হবে। তার এই সংবর্ধনার মাধ্যমে যে ঢেউ সৃষ্টি হবে, তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। এর মাধ্যমেই আমাদের নির্বাচনের সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি। তিনি ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী সংবর্ধনা, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। সারা দেশে একটি জাগরণ সৃষ্টি হবে। এটি সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করবে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তারেক রহমান বাংলাদেশে এসে দলের হাল ধরবেন, দেশের হাল ধরবেন এবং একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন।
মোহাম্মদ মিলন/এআরবি