সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কম্বাইন অপারেশন জরুরি : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আব্দুল্লাহ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তিনি (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. খায়রুল আলম সুমনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি আসনে যৌথবাহিনীর সিরিয়াস কম্বাইন অপারেশন করা প্রয়োজন। আমার নির্বাচনী এলাকায় এখনই অবৈধ অস্ত্র ও রামদা নিয়ে মহড়া দেওয়া হচ্ছে। আমার কাছে খবর আসছে, কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও ফ্যাসিবাদী সরকারের লোকজনকে জামিন করিয়ে বের করে আনা হচ্ছে। যারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন মামলার আসামিদের নির্বাচন করার জন্য জেল থেকে বের করা হয়েছে। সর্বহারার ভয় দেখানো হচ্ছে।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমি বলতে চাই সর্বহারার ভয় দেখিয়ে নির্বাচন করা যাবে না। প্রতিপক্ষকে বুদ্ধি, মেধা ও যুক্তি দিয়ে রাজনীতি করতে হবে। রামদার ভয় দেখিয়ে, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হারানোর রাজনীতি পরিহার করতে হবে। এটাকে গণতন্ত্রের রাজনীতি বলা যায় না। আমরা যদি নিরাপদে ক্যাম্পিং করতে না পারি, তাহলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা এখনও এলাকায় আগের মতোই মাস্তানি করে বেড়াচ্ছে। এ সময় তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চালানোর দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য ডিসি, এসপিসহ প্রশাসনের সকল স্তরে কথা বলছি।
তিনি জানান, ৮ দলের সঙ্গে ভোটের সমঝোতা চলছে। আমরা একই বাক্সে নির্বাচন করব। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে আমাদের তিনটি আসনে সমঝোতা হয়েছে। এর মধ্যে আমার বরিশাল-৩ আসন রয়েছে। আরও ১০-১২টি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং শহীদ ওসমান হাদিসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে যারা বেশি কমিটেড, তাদের সঙ্গেই আসন সমঝোতা হয়েছে। আমাদের আসন সমঝোতা অনুযায়ী তিনটি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আন্দোলনের কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ওসমান হাদিও একজন প্রার্থী ছিলেন। প্রশাসন ইতোমধ্যে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এমন নয় যে ধরে এনে সঙ্গে সঙ্গে বিচার শেষ করে ফেলবে। বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগে। যারা আন্দোলন করছেন, তাদের জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে আন্দোলন করা উচিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক জিএম রাব্বিসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা।
এআরবি