রংপুর বিভাগে ৯ দিনে মৃত্যু ৫২, শনাক্ত ৩০০২

রংপুর বিভাগে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী। গত ৯ দিনে অদৃশ্য এ ভাইরাসে বিভাগের আট জেলায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ২ জন। সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভাগে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে চারজন, দিনাজপুরে দুজন, রংপুুুর ও লালমনিহাটে একজন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯৫ জন। শনাক্ত হয়েছেন ৪৪৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৬ জন।
রোববার (২৭ জুন) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৯ দিনের মধ্যে এক দিনে (২৩ জুন) সর্বোচ্চ ৮৪৩ জন শনাক্ত হয়েছে এবং (২৪ জুন) ৯ জন মারা যান।
স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৬ জুন) বিভাগের আট জেলার ১ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪৭ জনের শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ১২০, কুড়িগ্রামে ৮৫, রংপুরে ৭৮, দিনাজপুরে ৬৩, গাইবান্ধায় ৪২, লালমনিরহাটে ২৩, পঞ্চগড়ে ১৮ এবং নীলফামারীতে ১৮ জন শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে বিভাগের বুড়িমারী ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও ছয়জন দেশে ফিরেছেন।
দিনাজপুুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১০ জন এবং মারা গেছেন ১৭৮ জন। রংপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫০ জন এবং মারা গেছেন ১১০ জন। ঠাকুরগাঁওয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৫৯ জন এবং ৭৪ জন মারা গেছেন। গাইবান্ধায় ২ হাজার ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৩ জন।
এ ছাড়া নীলফামারীতে আক্রান্ত ১ হাজার ৭৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন, কুড়িগ্রামে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৬০ জন এবং ২৭ জন মারা গেছেন, লালমনিরহাটে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৬ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন এবং পঞ্চগড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৪ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে শনিবার (২৬ জুন) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৪ হাজার ৫২০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৩৯২ জন এবং মারা গেছেন ৪৯৫ জন।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি