যশোরে করোনায় আরও আটজনের মৃত্যু

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ ও উপসর্গে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৫ জন।শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৩২২ জন সংক্রমিত হয়েছেন।
মোট মারা গেছেন ১৩৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮৮৮ জন। রোববার (২৭ জুন) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন ও যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২৭২ নমুনা পরীক্ষায় ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার পর্যন্ত করোনা ইউনিট (রেড) ও আইসোলেশন (ইয়োলো) ওয়ার্ডে নতুন করে ৬০ রোগী ভর্তি হয়েছেন। রেড ও ইয়োলো জোনে শয্যা খালি নেই। মেঝেতেও রোগী রাখার জায়গা নেই।
রোববার শহর ঘুরে দেখা যায়, বড় বাজার, দড়াটানা মোড়, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, চাঁচড়া, ঘোপ সেন্ট্রাল সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপরে আড়াআড়ি ব্যারিকেড দিয়ে মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পর থেকে বাজার বন্ধ হয়ে যায়।
ওষুধের দোকানছাড়া শহরের কোনো ধরনের দোকানপাট খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। গণপরিবহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও বিমা কার্যালয় চালু আছে। এতে চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে যাতায়াতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। এদিকে রোববার বিধিনিষেধের ১৮তম দিন চলছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তির চাপ কমেনি। প্রতিদিনই ৬০ থেকে ৭০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে রেড জোনে ৮২ জন ভর্তি আছেন। এর মধ্যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ৯ জন।
যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোরে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও সংক্রমণের হার একই রকম রয়েছে। আশা করছি, করোনা সংক্রমণ এর চেয়ে আর বাড়বে না। কারণ, মানুষ কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলছে।
জাহিদ হাসান/এমএসআর