হাজতখানার গ্রিল ভেঙে পালালেন রোহিঙ্গা যুবক

নোয়াখালীর ভাসানচর থানার হাজতখানা থেকে মো. সাহেদ (২৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক পালিয়ে গেছেন। তিনি ভাসানচরের ৫৬ নম্বর ক্লাস্টারের এম-৬ রুমের বাসিন্দা। সাহেদ নৌবাহিনীর ওয়্যার হাউস ভাঙচুরের ঘটনায় গত জুন মাসে দায়ের হওয়া মামলার আসামি।
শনিবার (০৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার (০২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা থেকে ৪টা ১০মিনিটের মধ্যে তিনি হাজতখানার জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর দশম থানা হিসেবে গত ১৯ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভাসানচর থানার উদ্বোধন করেন। হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা নিয়ে এই থানা গঠিত হয়।
মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচর। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ ও প্রস্থ ৬ কিলোমিটার। আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গ কিলোমিটার। ভাসানচর হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজর ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছর ২৯-৩০ জানুয়ারি ২ হাজার ৪২১ জন এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩ হাজার ৬০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। আরও দুই ধাপে স্থানান্তরের পর ভাসানচরে বর্তমানে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৮ হাজার৩৪৭ জন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর