হাসপাতালে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

রাজশাহীর হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। শনিবার (০৩ জুলাই) রাতে নিজের নির্বাচনী এলাকা চারঘাট ও বাঘা ছাড়াও পুঠিয়া, দুর্গাপুর, নাটোরের বাগাতিপাড়া এবং পাবনার ইশ্বরদী উপজেলায় চারটি করে কন্সেন্ট্রেটর পাঠিয়েছেন তিনি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জন্য পাঠিয়েছেন আরও ৪০টি অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর। এর মধ্যে ২৫টি নিজ মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এবং ১৫টি পান্ডুগড়-হাসিনা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পাঠিয়েছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়ে লিখেন, আমি চেষ্টা করছি জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও এই যন্ত্র সরবরাহের।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজশাহী জেলার সব উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে পালস অক্সিমিটার কেনার জন্য গত শনিবার এক বৈঠক থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি (চারঘাট ও বাঘায় ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে) এবং দুইবার পরীক্ষার পর অক্সিজেন লেভেল ৯২ শতাংশে নেমে এলে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটরের ব্যবহার শুরু হয়েছে রামেক হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে। এতে করোনা রোগীকে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন দেওয়া যাবে, বাড়তি অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন হবে না।
চিকিৎসরকরা জানিয়েছেন, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ফুসফুসকে দুর্বল করে দেয়। শ্বাসকষ্টের কারণে করোনা রোগীর নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ জরুরি হয়ে পড়ে। অক্সিজেনের দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর।
বাতাস থেকে অক্সিজেন পরিশ্রুত করে এই যন্ত্র। পরে ক্যানোলার মাধ্যমে রোগীকে তা নিতে সাহায্য করে। অক্সিজেন লেভেলের মাত্রা বজায় রেখে রোগীকে দুর্বল হওয়া থেকে আটকায় এই যন্ত্র।
এদিকে রাজশাহীর জন্য ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আবুল খায়ের। এর মধ্যে ৮০টি সিলিন্ডার রামেক হাসপাতালে এবং ১০টি করে চারঘাট ও বাঘার উপজেলা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে।
এই তথ্যও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মানবিক সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় আবুল খায়ের গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ বাবলুকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসায় যে অক্সিজেন প্রয়োজন তার অনেকটাই তারা তাদের স্টিলমিলের জন্য স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ করছে। সরকারের পাশাপাশি বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলো এভাবে এগিয়ে আসলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি