কুষ্টিয়ায় ঝরল ১১ প্রাণ, শনাক্ত ২৩২

কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। এ সময় ৭৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২২ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৩২ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৬২ জন, দৌলতপুরের ৪২ জন, কুমারখালীর ৫৯ জন, ভেড়ামারার ২৯ জন, মিরপুরের ২৫ জন ও খোকসার ১৫ জন রয়েছেন।
মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে তিনজন সদর উপজেলার, তিনজন কুমারখালীর, দুজন দৌলতপুরের, দুজন ভেড়ামারা উপজেলার ও একজন খোকসা উপজেলার বাসিন্দা।
এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৮ হাজার ৮৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৫ হাজার ৯০২ জনের। মোট শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৫৭ জন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ২২১। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ-সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এ সময় ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সব ধরনের দোকান ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।
লকডাউন কার্যকরে কুষ্টিয়ায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন। র্যাব-পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জনসমাগম ঠেকাতে মাইকিং করে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছে প্রশাসন। এই লকডাউন বাস্তবায়নে ছয়টি উপজেলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন আছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সব উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। লকডাউনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমে কাজ করা হচ্ছে। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজু আহমেদ/এনএ