বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৭০

বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন করোনায় এবং ছয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৯৫ জন। বগুড়ার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.সাজ্জাদ-উল-হক শুক্রবার (০৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনায় মারা যাওয়া সকলেই বগুড়ার বাসিন্দা। তারা হলেন- বগুড়া সদরের আব্দুল হাকিম (৪৯), শেরপুরের নাজমা (৬৭), আদমদীঘির শামসুননাহার (৫৫) ও বেদেনা (৪০), নন্দীগ্রামের আব্দুল জব্বার (৭০), কাহালুর মুসলেমা (৪৫), শাজাহানপুরের তানিয়া (২৫), দুপচাঁচিয়ার আগর আলী (৫৫) এবং সদরের ঠেঙামারা এলাকার বাদশা মিয়া (৬২)।
এদের মধ্যে হাকিম, নাজমা, শামসুননাহার ও বেদেনা সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে, জব্বার, মুসলেমা ও তানিয়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবং আগর ও বাদশা মিয়া টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনার উপসর্গ নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডা. সাজ্জাদ-উল-হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই কলেজের জিন এক্সপার্ট মেশিনে ২৪ নমুনায় ১২ জন এবং ১৬২ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় আরও ৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে।
এ ছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৪ নমুনায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩৩ দশমিক ২০ শতাংশ। এদের মধ্যে সদরের ৯৬ জন, শাজাহানপুরের ১৪ জন, শিবগঞ্জে ৯জন, ধুনটে ৯জন, গাবতলীতে সাতজন, সারিয়াকান্দিতে ছয়জন, দুপচাঁচিয়ায় ছয়জন, নন্দীগ্রামে ছয়জন, শেরপুরে ছয়জন, কাহালুতে পাঁচজন, সোনাতলায় চারজন এবং আদমদীঘিতে দুজন রয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৫ জন।
তিনি আরও জানান, জেলায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৪২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ও সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৪৫ জন। এদিকে নতুন ৯জনসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ জন। জেলায় বর্তমানে করোনায় ১ হাজার ৬২৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/এসপি