চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, প্রতিটি ঘর মানসম্মত হয়েছে : চাঁদপুরের ডিসি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে চাঁদপুরে ভূমিহীনদের যে ঘর দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকটি ঘর মানসম্মত হয়েছে বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিস। তিনি বলেন, আমি নিজে চাঁদপুরের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণ করা ঘর সর্ম্পকে জানি, সেগুলো অনেক ভাল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় একটি পত্রিকায় রিপোর্টের কারণে আমি নিজে রোববার (১১ জুলাই) ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগড়া বাজারের ঘরগুলো দেখতে এসেছি। বাস্তব পরিস্থিতি দেখে আমি অভিভূত। আমি নিজে প্রতিটি স্থান ঘুরে দেখেছি, বরাদ্দপ্রাপ্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, চাঁদপুর জেলার গৃহহীন, ভূমিহীনদের জন্য করা প্রতিটি ঘর গুণগত মানসম্পন্ন, মজবুত ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। আমার জেলার সকল ইউএনও, এসিল্যান্ড, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, পিআইও, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের শ্রমে-ঘামে তৈরি করা হয়েছে গৃহহীনদের ঘর। এই কাজের প্রতিটি পর্যায় নিবিড়ভাবে মনিটরিং করেছি আমি নিজে।
তিনি বলেন, শুধু চাঁদপুরে নয়, সারা দেশে তৈরি হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার গৃহহীনদের গৃহ। এর মধ্যে অতিবৃষ্টিতে ভেঙে গেছে ২০০-২৫০টি ঘর যা আবার মেরামত করে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজে এ ধরনের দুর্ঘটনা বা দু-একটি ক্ষেত্রে অনিয়ম হতেই পারে। অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে তদন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু মহতী এ ধরনের উদ্যোগের ঢালাওভাবে সমালোচনা করার উদ্দেশ্যকে মোটেই সহজভাবে দেখার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার একটা সুক্ষ্ম প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই আমার অনুরোধ আমরা সকল ভালো কাজের পাশে থাকি, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ইচ্ছে ভুলে যাই। মনে রাখবেন ওপরে একজন আছেন যিনি ন্যায় বিচারক। যিনি ভাল-মন্দ সব কিছুর হিসেব রাখেন।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায়ে চাঁদপুর জেলার ছয় উপজেলায় ১০৯টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সদরে ১৭টি, কচুয়ায় দুটি, মতলব উত্তরে ৩০টি, হাজীগঞ্জ ১০টি, শাহরাস্তিতে ৩০টি এবং হাইমচরে ২০টি ঘর দেওয়া হয়।
শরীফুল ইসলাম/এসপি