পাবনায় চালু হচ্ছে পিসিআর ল্যাব

করোনা পরিস্থিতি দিনদিন অবনতি হলেও একটি পিসিআর মেশিন পায়নি পাবনাবাসী। অবশেষে নমুনা পরীক্ষায় চরম ভোগান্তির অবসান হতে যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজ ভবনে ল্যাব নির্মাণের ৯৫ ভাগেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং কিট এলেই চালু করা যাবে ল্যাবটি।
বিষয়টি জানিয়েছেন পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনে পিসিআর মেশিন পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, জেলার সব শ্রেণিপেশার মানুষের দাবি ছিল একটি পিসিআর মেশিন স্থাপন করানোর। ইতোমধ্যে সেটি আমরা নিয়ে আসছি, এর কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। কিছু যন্ত্রাংশ, কিট ও টেকনিশিয়ান এলেই চালু হবে করোনা পরীক্ষার ল্যাব।

এমপি বলেন, শুধু লকডাউন দিয়েই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত সচেতনতাই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সারাবিশ্ব আজ এক ক্লান্তিকাল সময় অতিক্রম করছে, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দেশে এখনো করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে, কুষ্টিয়া, বগুড়া এবং রাজশাহীতে পিসিআর ল্যাব থাকলেও পাবনায় ছিল না। পিসিআর ল্যাব না থাকায় নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে। একবার নমুনা দিয়ে রিপোর্ট পেতে অপেক্ষা করতে হয় কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ দিন।
এসব নমুনা পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অচল অবস্থা। এতে করোনার উপসর্গে থাকা এবং করোনা রোগীসহ তাদের স্বজনদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। সেই ভোগান্তির অবসান হয়ে নিজ জেলাতেই নমুনা পরীক্ষা করাতে পারবে পাবনাবাসী।
পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বুলবুল হাসান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমাদের এখানে আরটি পিসিআর ল্যাব দেওয়া হয়েছে। সেটি আমাদের কলেজ ভবনে স্থাপন করেছি। অল্প একটু কাজ বাকি আছে। সেটি হলেই পিসিআর ল্যাব চালু হয়ে যাবে।
পরিদর্শন শেষে কলেজের কর্মচারীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। পরে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সভায় উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাফিকুল হাসান, স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহেদী হাসান রুমী, ডা. আহমদ তাউস, ডা. শাহিন ফেরদৌস শানু প্রমুখ।
রাকিব হাসনাত/এমএসআর