মেয়রের বিরুদ্ধে বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে এক বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বাছির মিয়া (৬০) ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৮), ছোট ভাই বাচ্চু মিয়া (৫০), বোন আছিয়া বেগম (৭০) ও মেয়ে জোসনা বেগম (৩০)। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাছির মিয়া ও তার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বাছির মিয়া বলেন, আমার মালিকানাধীন ও সরকারিভাবে লিজ নেয়া জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পে সরবরাহ করেন মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও কসবা উপজেলা যুবদল নেতা শরীফুল হক। এ ঘটনায় গত বছরের অক্টোবর মাসে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে এক লাখ টাকা জরিমানা করে কসবা উপজেলা প্রশাসন।
আমাদের মামলার পরবর্তী হাজিরার তারিখ আগামী ৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে পৌরসভার নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় মামলা নিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেতে বেকায়দায় পড়েছেন মেয়র। শনিবার দুপুরে জুয়েল তার সহযোগীদের নিয়ে তিনলাখপীর এসে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু মামলাটি তুলতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাছিরকে মারধর শুরু করেন জুয়েল ও তার সহযোগীরা
বাচ্চু মিয়া, বাছির মিয়ার ভাই
বালু উত্তোলনের ঘটনায় তার তিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে বলেন, আমরা এ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান মেয়র ও যুবদল নেতা। পরে গত বছরের নভেম্বরে মেয়র জুয়েল ও যুবদল নেতা শরীফুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করি আদালতে।
বাছির মিয়ার ভাই বাচ্চু মিয়া বলেন, আমাদের মামলার পরবর্তী হাজিরার তারিখ আগামী ৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে পৌরসভার নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় মামলা নিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেতে বেকায়দায় পড়েছেন মেয়র। শনিবার দুপুরে জুয়েল তার সহযোগীদের নিয়ে তিনলাখপীর এসে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু মামলাটি তুলতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাছিরকে মারধর শুরু করেন জুয়েল ও তার সহযোগীরা। এ সময় পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়।
মারধরের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএ