ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চলছে সীমিত যানবাহন

সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। সড়কে বাস চলাচল করতে দেখা না গেলেও চলছে পণ্যবাহী ট্রাক, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত যানবাহন। প্রতিদিন এ রুট দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করলেও এখন মহাসড়কটি যানবাহন শূন্য।
রোববার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাক-খুলনা মহাসড়কের প্রতিটি মোড়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গোয়ালন্দ মোড়, হ্যাচারিজ, পদ্মার মোড় ও দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। সড়কে বের হওয়া গুরুত্বপূর্ণ না হলে পুলিশ মামলা ও জরিমানা করছে।
মহাসড়কে অপেক্ষারত অতুল বিশ্বাস নামে এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, স্বজনদের সাথে ঈদ করতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সাভারের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। ঈদের ছুটি শেষ। আজই কর্মস্থলে ফিরতে হবে। সড়কে দূরপাল্লার বাস, গণপরিবহন কিছুই নেই। গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত সিএনজি ২০০ টাকা চাচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া ২০ টাকা। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে এত টাকা ভাড়া সম্ভব নয়।
স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ী আসলাম শেখ বলেন, মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন না চলাচল না করলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ থাকে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। গেল বছর থেকেই ব্যবসা মন্দ। করোনা আমাদের সব কাইড়া নিছে।
এ বিষয়ে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনে মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা। এ সড়কে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ও জরুরি সেবা আর কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া তেমন একটা যানবাহনের চাপ নেই। এরপরও কোনো বাস মহাসড়কে দেখলেই মামলা দেয়া হচ্ছে।
মীর সামসুজ্জামান/এসপি