ঝিনাইদহে ট্রাকের ধাক্কায় নসিমনের ছয় যাত্রী নিহত

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় নসিমনের ছয় যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নিহতরা নির্মাণশ্রমিক ও নসিমনের যাত্রী ছিলেন। প্রথমে সাতজন নিহতের বিষয়টি জানালেও পরে ছয়জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথে ট্রাকটি নসিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নসিমনের ছয় যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিল। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মদনডাঙ্গায় যাত্রীবাহী নসিমনকে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে নসিমনের ছয় যাত্রী নিহত হন। এ সময় আহত অবস্থায় নসিমনের চার যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শামীমুল ইসলাম বলেন, নিহত ছয়জনই নসিমনের যাত্রী। সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তারা। আহত চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঝিনাইদহ থেকে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিল। শেখপাড়া থেকে ১০ জন নির্মাণশ্রমিক নিয়ে দোগাছি ইউনিয়নে যাচ্ছিল নসিমনটি। মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা বাজারে পৌঁছালে ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নসিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে ছয়জন নির্মাণশ্রমিক নিহত হন। আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত চারজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের দোগাছি ইউনিয়নে। তারা সবাই নির্মাণশ্রমিক।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, সাতজন নয়; ছয়জন নিহত হয়েছেন। ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিহতরা নসিমনের যাত্রী। তারা কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঘটল দুর্ঘটনা।
এএম