ফরিদপুরে টিকা সংকট, কেন্দ্র থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেকেই

টিকা সংকটে ফরিদপুর সদরের তিনটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে প্রথমে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় টিকা প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় রোববার (৮ আগস্ট) দুপুর থেকে ফরিদপুর সদরের তিনটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান বন্ধ রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের মধ্যে নগরকান্দা ও মধুখালীতে আগামীকাল সোমবার (৯ আগস্ট) টিকা দেওয়া সম্ভব হলেও পরদিন মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) থেকে টিকা প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে। জেলার অন্য ছয়টি উপজেলার টিকাও শেষ পর্যায়ে।
জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর জেনালের হাসপাতালে টিকা গ্রহণ করতে এসে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রত্যাশীরা। যারা এসেছিলেন তারা সবাই টিকা পাওয়ার মেসেজও পেয়েছিলেন। এসে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে গেছেন।
ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা শামীম হোসেন (৩২) অভিযোগ করে বলেন, নিবন্ধন করার ৪ দিন পর তিনি টিকা গ্রহণের মেসেজ পেয়ে আজ এসেছিলেন। এসে দেখেন টিকা নেই। তার মতো অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, টিকা নেই তাহলে আমাকে মেসেজ দিয়ে এনে ভোগান্তি করানোর মানে কী?
ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ আগস্ট) ওই হাসপাতাল থেকে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা না থাকায় টিকাদান বন্ধ করা হয়েছে। সিভিল সার্জনের ডিপো থেকে তাদের টিকা সরবরাহ করা হয়। সেখানেই টিকা নেই। টিকা যতদিন না আসবে ততদিন টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে এ পর্যন্ত দুই লাখ ২৯ হাজার ১২০ ডোজ টিকা এসেছে। এগুলো সবই অক্সফোর্ড এস্ট্রা জেনেকা ও সিনেফার্মার টিকা।
তিনি আরো বলেন, টিকার বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। টিকা আসা সাপেক্ষে ফরিদপুরে আবার শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম।
এমএএস