দৌলতদিয়া ঘাটে হঠাৎ উভয়মুখী যাত্রীর চাপ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে হঠাৎ করেই ব্যক্তিগত গাড়ি ও মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। রোববার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে মানুষের তেমন ভিড় দেখা না গেলেও দুপুরের পর থেকে ভিড় বেড়েছে।
রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চল থেকে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, মাহিন্দ্র, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে যাত্রীরা ঘাটে আসছে।
এ সময় পাটুরিয়া ঘাট ছেড়ে আসা একটি ছোট ইউটিলিটি ফেরিতে ১০ থেকে ১২টি পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রাইভেট কারে দুই শতাধিক যাত্রী দেখা যায়। দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ওই ফেরি থেকে যানবাহন নামার প্রায় আধা ঘণ্টা পর ১৫টি যানবাহনের সঙ্গে তিন শতাধিক যাত্রী ওঠে।
গত ১ আগস্ট থেকে দেশের পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ রাজধানীর দিকে ছুটতে থাকেন। মাঝেমধ্যে মানুষের ভিড় অনেকটা কমে এলেও আজ দুপুর থেকে হঠাৎ করে উভয়মুখী মানুষের চাপ বাড়তে থাকে।

মাগুরা থেকে ঢাকাগামী রবিউল নামের এক যাত্রী বলেন, আমি ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। ১১ তারিখ থেকে অফিস খুলে যাবে। তাই আগেভাগেই ঢাকা যাচ্ছি। কিন্তু মহাসড়কে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় আসতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া তো আছেই।
পাংশা ঢাকা যাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিক জহির আহমেদ। ঘাট এলাকায় কথা হলে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এই কদিন ছুটিতে ছিলাম। কর্মস্থলে আর যোগ দেওয়া হয়নি। আজ ছুটি শেষ। তাই আজই কর্মস্থলে ফিরছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিধিনিষেধ থাকায় ছোট-বড় মিলে এই রুটে ৯টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও কঠোর বিধিনিষেধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ফেরি চলবে।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ