রংপুরে ৩১৫ জন শনাক্তের দিনে মৃত্যু ১৪

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৩১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল ১০ দিনে বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৭ জনে। তবে সোমবারের তুলনায় শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই কমেছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের পাঁচজন, গাইবান্ধার তিনজন, দিনাজপুরের দুইজনসহ ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের একজন করে রয়েছেন।
একই সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৪০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ৭০ জন, দিনাজপুরের ৫৪ জন, কুড়িগ্রামের ৪৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪২ জন, নীলফামারীর ৩৬ জন, গাইবান্ধার ৩৬ জন, পঞ্চগড়ের ২৫ জন ও লালমনিরহাট জেলার ৯ জন রয়েছে। বিভাগে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ১৪ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২৯৮ জন, রংপুরের ২৪২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২০২ জন, নীলফামারীর ৭৬ জন, পঞ্চগড়ের ৬৬ জন, কুড়িগ্রামের ৫৯ জন, লালমনিরহাটের ৫৭ জন ও গাইবান্ধার ৫৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২৯ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ৪৪৭ জন, রংপুরে ১১ হাজার ১২১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৬০২ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ২২৭ জন, নীলফামারীর ৪ হাজার ৭ জন, কুড়িগ্রামে ৪ হাজার ৮০ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ৪৪৭ জন এবং পঞ্চগড়ে ৩ হাজার ১২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৫৫ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩২ হাজার ৫০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়ায় রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতিদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১০-১২ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি