কখনও তারা ডিআইজি, কখনও এসপি
পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে রাজশাহীর মোহনপুর থানায় ফোন করে ধরা পড়েছেন তিন প্রতারক। শুক্রবার রাতে আলাদা অভিযানে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আলাদা অভিযানে গিয়ে তাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- নওগাঁর মান্দা উপজেলার কেশবপুরের মৃত ইদ্রীস আলীর ছেলে জাকারিয়া (৩৫), একই উপজেলার বাংড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে সাগর (২২) এবং সাবাই এলাকার সুনীল পন্ডিতের ছেলে সুমন (৪০)। প্রতারণা ও অস্ত্র আইনের পৃথক মামলায় শনিবার দুপুরের দিকে তাদের আদালতে নেয় পুলিশ।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তারা নিজেদের কখনো ডিআইজি, কখনো এসপি, কখনো এএসপি, কখনো থানার অফিসার ইনচার্জ পরিচয় দিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ফোন দিতেন। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
গত ১৩ আগস্ট প্রতারক চক্রটি জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষে ফোন করে। পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে একটি নম্বরে মোহনপুর থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন দিতে বলে। পরে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে মোহনপুর থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
ওই সময় প্রতারকরা পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে বিকাশে দ্রুত ১০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ডিউটি অফিসার জেলা পুলিশ সুপারকে জানান।
বিষয়টি প্রতারণা তা নিশ্চিত হয়ে জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন প্রতারকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তাদের চিহ্নিত করে ধরতে অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিনই বিকেলে মান্দা উপজেলার সাবাই হাট এলাকা থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা জানান প্রতারকরা। পরে শনিবার (১৪ আগস্ট) রাত সোয়া ৩টার দিকে মোহনপুরের টাঙ্গন এলাকায় আলাদা অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএফ
