ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে বাড়ির সামনে পানি ও গোমূত্র ফেলাকে কেন্দ্র করে আপন (১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবা মোতালেব গুরুতর জখম হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটেছে। মোতালেবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিতসার জন্য তাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু) রেফার করা হয়েছে।
জানা যায়, ফুলবাড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোজাহারের ছেলে মোতালেবের (৪০) বাড়ির সামনে প্রতিবেশী মৃত রানাত আলীর ছেলে কালাম (৪০) প্রতিদিন গোমূত্র এবং গরুর গোসল করায়। এতে মোতালেবের বাড়ির সামনে কাদা হয়ে যায়। রোববার সন্ধ্যার পর মোতালেবের ছেলে বাড়ি থেকে তার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বের করতে গেলে চাকা কাদায় আটকে যায়।
এতে আপন তার বাড়ির সামনে গরুর গোসল করাতে মানা করলে কালামের সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে কালাম হাঁসুয়া দিয়ে আপনকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় আপনের বাবা মোতালের ঠেকাতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে কালাম।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে আপনের মৃত্যু হয়। এদিকে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালামকে আটক করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, আহত দুজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম রয়েছে। আপনের প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে আসার আধাঘণ্টা পরই তার মৃত্যু হয়। বাবা মোতালেবের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, বাড়ির সামনে পানি যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিবেশী কালাম। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে আপনের মৃত্যু হয়।
আফজালুল হক/এমএএস