শিপ্রা-সিফাতের দুই মামলায় অভিযোগের সত্যতা মেলেনি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে দুই মাদক মামলায় করা অভিযোগের সত্যতা পায়নি র্যাব। এই মর্মে আদালতে মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
রোববার (ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) তামান্না ফারাহ ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (রামু) মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর তার সহযোগী শিপ্রা ও সিফাতের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। মামলা দুটি র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। আজ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেতদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাখেদ খান। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার সহযোগী সিফাতকে আটক করে। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে অপর সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়।
সিনহার গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। যাতে সিনহা এবং তার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আসামি করা হয়। আর নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটকে সময় মাদক পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা করা হয়। এরপর ৯ আগস্ট সিফাতকে ও ১০ আগস্ট শিপ্রা দেবনাথ জামিনে মুক্তি পান।
আরএআর