লইসকা বিলে আহাজারি আর কান্না

কেউ খুঁজছেন বাবাকে, কেউ খুঁজছেন ভাই আবার কেউ খুঁজছেন প্রিয়তমা স্ত্রীকে। ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লইসকা বিলে ভিড় জমাচ্ছেন স্বজনরা। স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ। সময় যত গড়াচ্ছে ততই প্রিয়জনকে জীবিত ফেরত পাওয়ার আশা ফুরাচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইসকা বিলে বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনায় রাত ৮টা পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন নারী ও দুইজন শিশু।

ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী আলী আক্তার রিজভী জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার নৌকাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রলারটি লইসকা বিল আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই পানিতে তলিয়ে গেছেন।
লইসকা বিলে নিখোঁজ ভাইয়ের জন্য আহাজারি করা এনামুল ইসলাম মান্না মিয়া জানান, তার ভাই সিরাজুল ইসলাম মনিপুর ঘাট থেকে ট্রলারে ওঠেন আনন্দবাজারে যাওয়ার জন্য। ট্রলারডুবিতে তার ভাই নিখোঁজ রয়েছেন।

বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার ট্রলারে করে আনন্দবাজার যাচ্ছিলেন। ট্রলারডুবে যাওয়ার সময় তিনি সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও স্ত্রীকে টেনে তুলতে পারেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন জানান, রাত ৮টা পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর