ট্রলারডুবির সাত দিন পর মিলল শিক্ষকের লাশ

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ দুই শিক্ষকের মধ্যে আজমল হোসেন শেখ (৪২) নামে এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর ৩৩ নম্বর পিলারের কাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তবে নিখোঁজ অপর শিক্ষক আলমগীর হোসেনের (৪০) সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। নিহত আজমল হোসেন শেখ ফরিদপুর শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার এক নম্বর সড়কে বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি পাশের রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে।
জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, নিহতের প্যান্টের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাজিরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। মামলা হলেও মরদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষক একটি ট্রলার ভাড়া করেন। শিক্ষকরা প্রথমে চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের চাঁদের বিল ঘুরে পদ্মা নদী দিয়ে মদনখালী এলাকায় যান। ফেরার পথে সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারে ১৫ জন শিক্ষক ও ট্রলারের মাঝিসহ মোট ১৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ১৩ জন শিক্ষক ও মাঝিসহ ১৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও দুই শিক্ষক পানির স্রোতে ভেসে যান।
ট্রলারডুবির সাতদিন পর নিখোঁজ শিক্ষক আজমলের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শিক্ষক আলমগীর হোসেন (৪০)।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আরেক শিক্ষকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পদ্মা তীরবর্তী প্রতিটি থানা এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে।
আরএআর