খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়ায় ৫ শিশুর মৃত্যু

খাগড়াছড়িতে শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিনই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভিড় বাড়ছে। গত ১৮ দিনে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ শিশু মারা গেছে।
পাহাড়ে শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় শ্বাসকষ্ট, জ্বর ,ঠান্ডাসহ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। মারা যাওয়া শিশুদের বয়স এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে। শীতে বাড়তি রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে শীতকালীন নানা রোগের উপর্সগ নিয়ে ২১ শিশু ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে শিশু সন্তানকে নিয়ে আসা রোকসানা আক্তার বলেন, পাহাড়ে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি হচ্ছে। আমার বাচ্চা ৪-৫দিন পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসা দেওয়ার পরও সুস্থ হতে সময় লাগছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে নবজাতক ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে অনেক শিশু সিভিয়ার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অনেক অভিভাবক সচেতন নয়। ফলে গত কয়েকদিনে হাসপাতালে পাঁচ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
শিশু ওয়ার্ডের নার্সিং অফিসার মেমোরি চাকমা জানান, শীতের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। অনেক অভিভাবক সচেতন না। অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন না। দেরি করে হাসপাতালে নিয়ে আসার কারণে অনেক বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আবার অনেকে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। এতে অনেক বাচ্চা অপচিকিৎসার শিকার হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপতালের সিনিয়র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাজেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এ সময় শিশুদের গরম কাপড়ে রাখার পাশাপাশি সুষম খাবার দিতে হবে। মা করোনা আক্রান্ত হলেও মাস্ক পরে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। চলতি মাসের ১৮ দিনে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে পাঁচ শিশু মারা গেছে বলেও তিনি জানান।
আরএআর