স্ত্রীর মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড

যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে স্বামীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। (১৩ ডিসেম্বর) রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ফয়সাল উদ্দিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার রোজারঘোনা গ্রামের মাহমুদ বাবুলের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ জুন যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সালমা আক্তার বাদী হয়ে যশোর আদালতে মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, যশোরের কসবা এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সালমা আক্তারের সঙ্গে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ফয়সাল উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগ মুহূর্তে তিনি সালমার মায়ের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক ছাড়া তাকে বিয়ে করার অনুরোধ করা হলে শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী যশোর শহরের পুলিশ লাইন এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।
বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সালমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন ফয়সাল। এরপর ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল সালমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন ফয়সাল। একই সঙ্গে জানিয়ে দেন যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে নিয়ে আর সংসার করবে না। বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর সালমা আক্তার বাদী হয়ে যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার ফয়সালকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সালমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী আমাকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করত। সামাজিকভাবে স্ত্রী দাবি করলেও টাকার জন্য আমাকে বিয়ে করেছে। অনেক বার স্বামীর কাছে যেতে চেয়েছি। স্বামী আমাকে গ্রহণ করেনি।
উল্লেখ্য, ফয়সাল বর্তমানে টেকনাফের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। এছাড়া ফয়সালের একাধিক বউ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসপি