অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর মায়ের কোলে ফিরল শিশুটি

অপহৃত হওয়ার ৯ ঘণ্টা পর রাজধানীর মহাখালী থেকে জাফনাথ সাঈদা জবা নামে ১৬ মাস বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া থেকে গৃহকর্মী শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী উম্মে সালমা নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের প্রভাষক। তারা উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মোগরাপাড়া সাহেব বাড়িতে দুই মেয়ে তাইয়্যেবা জুই (৭) ও ১৬ মাস বয়সী জাফনাথ সাঈদা জবাকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। রোববার বিকেলে তারা ঘুমিয়ে পড়লে বাড়ির গৃহকর্মী শারমিন আক্তার (১৫) তার শিশুকন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। মামলার পর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন ও সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের কয়েকটি টিম শিশুটিকে উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঢাকার তেজগাঁও সাততলা বস্তিতে অভিযান চালায়। বস্তির কয়েকজন বাসিন্দার তথ্য পেয়ে মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে রাত দেড়টায় শিশু জাফনাথ সাঈদাকে উদ্ধার করি। এ সময় অপহরণকারী শারমিন আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরও জানান, শারমিন আক্তার এক সময় তেজগাঁও সাততলা বস্তিতে বসবাস করত। বস্তিতে বসবাস করার সময় সে মাদক সেবন ও বিক্রি করত। ২৫ দিন আগে সে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া সাহেব বাড়িতে এসে শিশু জাফনাথ সাঈদাকে দেখাশুনা ও ওই বাড়ির গৃহকর্মীর কাজ নেয়। মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই শিশুটিতে অপহরণ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে। শিশুটিকে রাতেই তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির বাবা জহিরুল ইসলাম জানান, গৃহকর্মী শারমিন আক্তার আমাদের বাসায় কাজ নেওয়ার আগে বস্তিতে বসবাস করত এবং সে মাদকাসক্ত ছিল তা আমাদের জানা ছিল না। তথ্য গোপন করে সে আমার বাসায় চাকরি নেয়। পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতার কারণে আমরা আমাদের সন্তানকে ফিরে পেয়েছি।
শেখ ফরিদ/এসপি