স্কুলের জমিদাতা দাদা, শ্রেণিকক্ষে সপরিবারে থাকছেন নাতি

করোনাকালে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে মোশারেফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি সপরিবারে বসবাস করছেন।
কিন্তু স্কুলটি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হলেও এখনও তিনি সেখানে বাস করছেন। দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটিতে ক্লাসরুম দখল করে তিন মাস ধরে বাস করছেন তিনি। অনেকগুলো বেঞ্চ একত্র করে বানিয়েছেন দুটি চৌকি।
আরও কয়েকটি বেঞ্চ একত্র করে রেখেছেন গৃহস্থালির মালামাল। বারান্দার এক কোণে চুলা বসিয়ে রান্না-বান্না করেন তিনি। তিনি স্ত্রী নাজমা বেগমকে নিয়ে বাস করেন। তার তিন ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা থাকেন চট্টগ্রামে।
সহকারী শিক্ষক জিএম হিলারী জানান, প্রধান শিক্ষক ওই ব্যক্তিকে এখানে কয়েকমাস আগে থাকতে দিয়েছেন। শুনেছি ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে এখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে।
রুমের বসবাসকারী মোশারেফ হোসেন (৪৫) জানান, আমার দাদা বিদ্যালয়ের জমিদাতা। কিন্তু আমার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি ঘর চেয়েছিলাম। তিনি ঘর দিতে না পেরে এখানে থাকতে দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিজিয়া বেগম জানান, দু-একদিনের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে একাধিকবার ফোন করা হলেও ইউপি চেয়ারম্যান মিলন মাঝি ফোন রিসিভ করেননি।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগির বিদ্যালয়ের রুমটি দখলমুক্ত করা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএসআর