নওগাঁয় জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম
নওগাঁর পোরশায় পেট জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার (০২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সারাইগাছী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জোড়া লাগানো যমজ নবজাতকের মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তিনি উপজেলার গাঙ্গুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তার অস্ত্রোপচার করা হয় স্থানীয় সারাইগাছি বাজারের বেসরকারি ইসলামিয়া ল্যাবএইড হাসপাতালে। তার অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নূর মোহাম্মদ।
হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নুরনবী জানান, পোরশার গাঙ্গুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ফিরোজাকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে অস্ত্রোপচার করেন ডা. নূর মোহাম্মদ। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে জোড়া লাগানো যমজ কন্যাশিশুর জন্ম দেন ফিরোজা বেগম। জন্মের পর শিশু দুটি ভালো ছিল। জোড়া লাগানো হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আর এ ধরনের চিকিৎসাব্যবস্থা নওগাঁয় নেই। তাই ওই দুই নবজাতককে বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চিকিৎসক নূর মোহাম্মদ জানান, বাংলাদেশে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। আমাদের এখানে যমজ শিশুর জন্য চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
যমজ নবজাতকের বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি পেশায় একজন ক্ষুদ্র কৃষক। নিজের সামান্য কিছু জমি ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে কোনো রকম সংসার চালায়। জোড়া লাগানো যমজ শিশুর বাবা হয়েছি। শিশু দুটি ভালোই আছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নিয়ে যাচ্ছি।
এসপি