মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেল এসএসসি পরীক্ষার্থী
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। রূপান্তরিত ওই ছেলেকে দেখতে তার বাড়িতে করছে উৎসুক জনতা। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- হরমোনজনিত কারণে রূপান্তরিত হওয়ার এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নঠুরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাবলু মিয়ার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে লাবণী আক্তার ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার খবরে তাদের বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় লাবণীর নাম রাখা হয় আব্দুল্লাহ জিসান। সে উপজেলার হাতেম আলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী।
রূপান্তরিত হওয়া লাবণীর বাবা লাভলু মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মেয়ের অঙ্গভঙ্গিসহ শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। পরে শুক্রবার লাবণীর রূপান্তরিত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা বাড়িতে ভিড় করছে।
তিনি আরও বলেন, তার (লাবণী) শারীরিক গঠন অনেকটা পুরুষের মতো। এছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় লাবণীর নাম পরিবর্তন করে আব্দুল্লাহ জিসান রাখা হয়েছে।
লাবণীর মা পারভীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে একই উপজেলার মাকুল্লা গ্রামে লাবণী আক্তারের বিয়ে ঠিক করা হয়। তখন লাবণী বিয়েতে অসম্মতি জানায়। সে তার রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি বললে তিনি প্রথমে বিশ্বাস করেননি। পরে তিনি সব কিছু দেখে শুনে বিশ্বাস করেন। আল্লাহ তাকে মেয়ে থেকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছেন। আগে তাদের দুই মেয়ে ছিল। এখন এক ছেলে ও এক মেয়ে হওয়ায় তারা খুশি।
ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া লাবণী আক্তার জানায়, সে চার-পাঁচ মাস আগে থেকেই এমন কিছু ঘটছে বলে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু লোক-লজ্জার ভয়ে তখন কিছু বলতে পারেনি।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হালিমুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রথমে তিনি ঘটনাটি বিশ্বাস করেননি। পরে সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজী বলেন, দেশে মাঝে-মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে। তবে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার জন্য তার পরিবারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর