সিলেট জেলা বিএনপির এক ইউনিটেরও সম্মেলন হয়নি

গত বছরের ২ অক্টোবর ২৫ সদস্যের সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ছিল তিন মাস। তিন মাসের মধ্যে সব উপজেলা ও পৌরসভায় বিএনপির সম্মেলন শেষ করার জন্য আহ্বায়ক কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এরপর জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৪ মাসেও এক উপজেলা কিংবা পৌরসভায় বিএনপির সম্মেলন করতে পারেনি বর্তমান কমিটি। উল্টো ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন জেলা বিএনপির নেতারা।
সম্প্রতি জেলা বিএনপির নয় সদস্য সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান কমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের নির্দেশে চলছেন। তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন। এতে সার্বিক কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে এবং তিনি নিজেই একাধিকবার তার অসহায়ত্বের কথাও প্রকাশ করেছেন। সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২১ সদস্যের একপেশে ১৩ উপজেলা ও পাঁচ পৌরসভা কমিটি গঠন করেন।
আশিক উদ্দিন বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিটি উপজেলা কমিটিতে আমাদের পক্ষের ছয়জন নতুন সদস্যের তালিকা দেয়ার নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলনও তালিকা চাইলে আমরা তা সরবরাহ করি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক চক্রান্ত করে মিলন ও বর্তমান আহ্বায়ককে ব্যবহার করে আমাদের ছয়জনের নাম না দিয়ে আবারও নিজের পক্ষের লোকজনের নাম ঘোষণা করেন। এতে জেলা বিএনপি মহাসংকটের মুখে পড়ে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক উপজেলা ও পৌরসভায় পকেট কমিটি করেছেন। তারা আবার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে অযোগ্য লোকদের দিয়ে কমিটি করছেন। এভাবে তারা জেলা বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান আহ্বায়ককে আমরা পরামর্শ দিতে পারি; নির্দেশ দিতে পারি না। যারা এসব কথা বলছেন তারা দলের ভালো চান না।
সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আহ্বায়ক কমিটির নয় সদস্য যেসব অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়। ২৫ সদস্যের কমিটির ১৬ জনই আমাদের সঙ্গে আছেন। বাকি নয়জন অপপ্রচার করছেন।
১৪ মাসের একটি ইউনিটেও সম্মেলন না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সময়মতো সবকিছু করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি অবগত আছেন।
এএম