বরগুনায় মেয়র প্রার্থীর স্ত্রীর ওপর ‘ডিম হামলা’

বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার সময় বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের স্ত্রীর ওপর হামলা এবং ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে বরগুনা পৌর মার্কেটের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী হেনারা বেগম, শ্যালিকার মেয়ে ইভা মনি ও তামান্না লাবনী আহত হয়েছেন।
হেনারা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেনের পক্ষে প্রচারণার জন্য পৌর সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে যাই। এ সময় আমার বোনের দুই মেয়ে ইভা মনি ও তামান্না লাবনীসহ আরও কয়েকজন নারী সমর্থক আমার সঙ্গে ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রেস ক্লাব গলিতে প্রচারণা চালাতে গেলে মুখে রুমাল বাঁধা অজ্ঞাত এক যুবক আমাদের লক্ষ্য করে ডিম ছুড়তে থাকে। একের পর এক ডিম ছোড়া দেখে হতভম্ব হয়ে যাই আমরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই যুবক ডিমের খাঁচা দিয়ে আমাদের পিটিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে সেখানে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি যুবায়ের আদনান অনিক ও তানভীর হোসাইন উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
খবর পেয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক শহিদুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী হেনারা বেগম বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজের সমর্থকরা আমাদের ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।
তাদের ওপর হামলার তথ্য সঠিক কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, বর্তমান মেয়র বরগুনার ঐতিহ্যবাহী পৌর মার্কেটকে কুক্ষিগত করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। তার দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রচারকদের ওপর হামলা করে থাকতে পারেন ওসব ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা আমার সমর্থকরা জড়িত নয়।
কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, নির্বাচনে শাহাদাত হোসেন কালো টাকা ঢেলেছেন। ফলে নির্বাচন প্রভাবিত হচ্ছে। এছাড়া নিত্যনতুন কৌশলে তিনি আমার এবং আমার নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক অপবাদ দিচ্ছেন। যেখানে বিএনপিসহ অন্য সাতজন মেয়র প্রার্থীর আমার ওপর একটিও অভিযোগ নেই, সেখানে আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গুজব ছড়াচ্ছেন শাহাদাত হোসেন। তাই আমি এর প্রতিকার চাই।
বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেছি। ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক প্রার্থী যাতে নিরপদে প্রচারণা চালাতে পারেন সে জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এএম