জয়পুরহাট আদালতের সেই ৪ কর্মচারী রিমান্ডে

জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সেই চারজন কর্মচারীকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩১ অক্টোবর) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে ৩১ অক্টোবর রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য্য করেছিল।
আসামিরা হলেন- আদালতের নাজির ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার জহুরুল ইসলাম (৪৩), ড্রাইভার ও চট্টগ্রাম জেলার হালিশহরের সদরের রাসেল (৩০), আদালতের ক্যাশ সরকার ও মুসলিমনগর গ্রামের কামরুজ্জামান (৪৩) এবং আদালতের প্রসেস সার্ভার ও পাঁচবিবির জাহাঙ্গীর আলম (৩৯)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ মে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারীরা আদালতের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে অন্যদের পথরোধ ও সরকারি কাজে বাধা দেন। সেখানেই তালা ঝোলানো নিয়ে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অফিস কক্ষ থেকে কর্মচারীদের কাছে থাকা সরকারি ২০টি বিভিন্ন ফাইল চুরি করেন। এসব ফাইল উদ্ধার হয়নি। এসব অভিযোগ তুলে আদালতের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সরকার বাদী হয়ে এ বছরের ৩ জুন ও ৯ জুন জয়পুরহাট থানায় পাঁচজনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন।
এরপর ২৬ অক্টোবর ওই মামলার চারজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই পুলিশ তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ৩১ অক্টোবর রিমান্ড আবেদনের শুনানি দিন ধার্য্য করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন শুনানি শেষে চার কর্মচারীকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ মামলার আরেক আসামি সামসুল আরেফিন পলাতক রয়েছেন।
চম্পক কুমার/এমএসআর