বাগেরহাটে প্রথম ধাপে টিকা পাবে ৪৮ হাজার মানুষ

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে। প্রথম ধাপে পাওয়া ৪৮ হাজার ডোজ টিকা বাগেরহাট পাঠাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা দিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে।
টিকা সংরক্ষণ ও দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, সোমবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে প্রথম ধাপে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮শ ভায়াল টিকা পাঠানো হবে। টিকা জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে সরবরাহ করা হবে। টিকা সংরক্ষণের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিরাম ইনস্টিটিউটের এই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের সাড়ে সাত লাখ ডোজ টিকা রাখার সক্ষমতা রয়েছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ধাপে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য, পয়নিষ্কাশনকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের করোনা টিকা প্রদান করা হবে।
বাগেরহাট জেলায় এই ধরনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো ছক অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তালিকা তৈরি শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
টিকা দেওয়ার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৮টি, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১টি, ৮ উপজেলায় ২টি করে, ৭৫টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১০২টি টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে টিকাদানে অভিজ্ঞ দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।
এছাড়া টিকা গ্রহনের পরে তাৎক্ষণিক কোনো সমস্যা হলে সমাধানের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডভ্যান্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমুউনাইজেশন ম্যানেজমেন্ট (এইএফআই) টিম গঠন করা হয়েছে। এ সকল কমিটির লোকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ধাপের টিকাগুলো হাসপাতালে দেওয়া হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন ডা.কে এম হুমায়ুন কবির।
শোহান/এসপি