কালকিনিতে ৫০ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ ও বেশকিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত ও আটকদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুর কালকিনি উপজেলায় কয়ারিয়া ইউনিয়নের তালতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কালকিনির কয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন জমাদার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান নুর মোহাম্মদ সমর্থকদের মাঝে এ ঘটনা ঘটে। ককটেল বিস্ফোরণসহ ৫০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন অহত হন এবং ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেন।
স্থানীয়রা জানান, নৌকা প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনী প্রচারণা করতে থাকলে নৌকা প্রার্থীর লোকজন প্রায় একশ মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাদের বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণসহ নৌকার প্রচারণায় ব্যবহৃত অন্তত ৫০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৫শ সমর্থক লগি-বৈঠা নিয়ে পুরো এলাকায় মিছিল করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ বলেন, সকালে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পথসভায় বের হলে তালতলা বাজারে আসার পর বিপরীত দিক থেকে নৌকা মার্কার সমর্থকরা আমার লোকদের বাঁধা দিয়ে হামলা চালায়। ফলে এলাকায় আমার যত সমর্থক আছে সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আমার লোকজনও আহত হয়েছে এবং আমাদেরও অনেকগুলো মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
নৌকার মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন জমাদার বলেন, তারা লোকজন ভাড়া করে এনে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি করেছে তারা। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানা পুলিশের ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ঘটনার পর দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে। আমারা সন্দেহজনক ১২ জনকে আটক করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেননি।
নাজমুল মোড়ল/এমএএস