চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কনস্টেবলকে ঢাকায় পাঠালেন এসপি

বগুড়া জেলা পুলিশের কনস্টেবল হৃদয় হোসেন। পুলিশ লাইন্স মাঠে গত তিন দিন আগে প্রাতঃকালীন রোলকলে অংশ নেওয়ার সময় হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। সেখানে তার সকল চিকিৎসার খোঁজখবর নেন জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানায়, হৃদয়ের হার্টে ব্লক রয়েছে। যা অপসারণ করতে ওপেন হার্ট সার্জারি করা প্রয়োজন। যার জন্য তাকে দ্রুত রাজধানী ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে স্থানান্তরের প্রয়োজন।
বগুড়ার মানবিক পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা কনস্টেবল হৃদয় হোসেন অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তার সকল খোঁজখবর রাখছিলেন। হৃদয়কে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। পুলিশ সুপার তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি বেসরকারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
হৃদয় হোসেনকে ঢাকায় প্রেরণকালে বগুড়া জেলা পুলিশের (শেরপুর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর, রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (আরওআই) অর্পণ কুমার দাস, মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ মণ্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কনস্টেবল হৃদয় হোসেনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, আলী আশরাফ ভূঞা একজন মানবিক পুলিশ সুপার। কনস্টেবল হৃদয় হোসেন অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সার্বিক খোঁজখবর রেখেছেন। পুলিশ সুপার তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য হৃদয়কে ঢাকায় প্রেরণ করলেন।
তিনিও আরও জানান, বগুড়ার পুলিশ সুপার বিভিন্ন সময়ে মানবিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে থাকেন।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর