আমরা অচিরেই কঠোর অভিযানে নামব

অনুমোদনহীনভাবে চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় সিলেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে। কিন্তু এসব পণ্যের আমদানি ঠেকাতে ও বিক্রি বন্ধের দেখভালের দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারাও পালন করছেন দায়সারাভাবে। এসব পণ্য সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সিলেট নগরে প্রবেশ করে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর লালদিঘিরপার, বন্দরবাজার, শাহজালাল মাজার, শাহপরান মাজার ও জিন্দাবাজারসহ অনেক দোকানে প্রকাশ্যেই এসব পণ্যের পসরা সাজানো রয়েছে। এভাবেই দোকানিরা বিক্রি করছেন।
অবৈধ পথে আসা পণ্যের মধ্যে রয়েছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, কনডম, দুধ, চা-পাতা, বিস্কুট, চকলেট, সাবান, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, পাওডার, উপটান, সুগন্ধি, বিভিন্ন রকমের ওষুধসহ নানা প্রসাধনী। এসব পণ্যের বেশির ভাগই খুবই নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ।

দেশে উৎপাদিত পণ্য বা বৈধভাবে আমদানি করা পণ্যেই যেখানে অনেক সময় ভেজালমিশ্রিত থাকে, সেখানে ভারত থেকে অবৈধ পথে দেশে আসা এসব পণ্য বা প্রসাধনী মানবদেহের জন্য কতটুকু নিরাপদ, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহলের অনেকেই।
নগরীর আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কিংবা অন্য কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালতকে এসব পণ্যের অবৈধ আমদানিকারক বা এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে দেখি না। অবিলম্বে এসব জায়গায় অভিযানের দাবিও জানান তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেট জেলা ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় চোরাকারবারিরা কোম্পানিগঞ্জ, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করায়। পরে তাদের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সিলেট নগরের বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করে।

সীমান্ত এলাকা থেকে সিলেট নগরীতে আসা এসব চোরাই পণ্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) এ বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, আমরা নিয়মিতই এসব চোরাকারবারিকে আটক, তাদের পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করি। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না, জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা অচিরেই এদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নামব। সিলেট মহানগরীতে কাউকেই এসব চোরাই পণ্য বিক্রি করতে দেব না।
এনএ