ফরিদপুরে আগুনে পুড়ল ১৫০০ মণ পাট

ফরিদপুরের সদরপুরে আগুনে দুটি গুদামের ১ হাজার ৫০০ মণ পাটসহ মোট তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়ে গেছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার সাড়ে সাতরশি বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে সদরপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ৫০ লাখ টাকার পাট পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরপুরের সাড়ে সাতরশি বাজারে বিমল কুমার সরকারের একটি ঘরে কে এম সাত্তার ও ভোলানাথ সাহার দুটি পাটের গুদাম আছে। ওই ঘরের আরেক অংশে বিমল কুমার সরকারের নিজের রাইচ মিল রয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে কে এম সাত্তারের গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
পরে পাশের গোডাউনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় গোডাউনগুলো বন্ধ ছিল এবং খুব ভোর হওয়ায় বাজারে কোনো মানুষ ছিল না। সকালে হাঁটতে বের হওয়া মানুষজন প্রথমে পাটের গোডাউনে আগুন দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেন। পরে এলাকাবাসী আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। এর মধ্যে আগুন ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সদরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাড়ে তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত পাট ব্যবসায়ী কে এম সত্তার জানান, পুড়ে যাওয়া গোডাউনে তার এক হাজার মণ পাট ছিল। গুদামে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিল না। এ অগ্নিকাণ্ডে তার ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপর ব্যাবসায়ী ভোলানাথ সাহা বলেন, আগুনে আমার ৫০০ মণ পাট পুড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সদরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দুটি ইউনিট ও এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন, আগুন কোথা থেকে লেগেছে এটা আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। তবে আমরা ধারণা করতে পারি কে এম সাত্তারের গুদাম থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পুড়ে যাওয়া গুদাম দুটি অগ্নিবীমার আওতায় থাকায় তদন্ত ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব না।
জহির হোসেন/আরএআর