মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো ৪ মণ চিংড়ি

ফেনীতে জেলি মিশ্রিত চার মণ চিংড়ি জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ফেনী বড় বাজার ও হকার্স মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মাছগুলো জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফা জামান বলেন, বাজারে প্রতিনিয়ত জেলি মিশ্রিত চিংড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঞার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে মাছ ব্যবসায়ী মো. আলীর কাছ থেকে ৩৬ কেজি, হৃদয়ের থেকে ৫৬ কেজি, জাফরের থেকে ৩৬ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি জব্দ করা হয়। পরে সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেটে অভিযান চালিয়ে আরও ৩৫ কেজি জেলি মেশানো চিংড়ি জব্দ করা হয়। অভিযানে জব্দ করা ১৬২ কেজি চিংড়ির বাজার মূল্য এক লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে মাছের ওজন বাড়ে, সুদৃশ্য হয়। বেশি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা মাছে জেলি মেশায়। অভিযানে জব্দ করা মাছগুলো ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থানে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ফেনীর পৌর মৎস্য, সুলতান আহাম্মদ হকার্স মার্কেট আড়তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২শ কেজি সিলিকা জেলযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা গুণতে হয় ছয়টি কমিশন এজেন্টকে। তবে তাদের দাবি, এতে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
চিংড়ি সরবরাহকারীদের একজন জানান, মূলত খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে ফেনীতে চিংড়ি আমদানি করেন আড়তদাররা। দেখতে এসব চিংড়ি মনকাড়া হলেও প্রায় মাছেই থাকে ভেজাল। ভেজালবিরোধী এ সকল অভিযান মাঝেমধ্যেই পরিচালিত হয়। জরিমানা করা হয়, ভেজাল চিংড়ি বাজেয়াপ্তও হয় কিন্তু ভেজাল বন্ধ হয় না। খুলনা থেকে সরবরাহ করা মাছে সবচেয়ে বেশি ভেজালদ্রব্য মিশ্রিত থাকে। ঘের এবং ঘের থেকে বের হলেই একটি চক্র চিংড়িতে ভেজাল দ্রব্য মেশায়।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন- ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফা জামান ও সমবায় কর্মকর্তা হারুন উর রশিদসহ মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
হোসাইন আরমান/এসপি