আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা হবে : ইসি রফিকুল

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা হবে। এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কার্যকর সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া জিমনেসিয়ামে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগে নির্বাচনের আগের দিন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে ভোট গ্রহণের সরঞ্জামাদির সঙ্গে ব্যালট পেপার হস্তান্তর করা হতো। এখন নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌঁছানো হচ্ছে। এর সুফল হিসেবে রাতে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগমুক্ত নির্বাচন আয়োজন এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নীতিমালা প্রণয়ন এবং নির্দেশনা প্রদান করে আর আপনারা ভোটকেন্দ্রে ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। বাস্তবায়ন কাজ সঠিক হলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ইতিবাচক হয়। তাই আপনাদের ওপরই অভিযোগমুক্ত নির্বাচন আয়োজন নির্ভর করছে। কোনো পেশিশক্তির কাছে আপনারা মাথা নত করবেন না। ভোটগ্রহণের দিনসহ এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে চলে যাবেন, অবস্থান করবেন না। কেন্দ্রে কোনো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন না।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম, নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আছলাম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আছলাম জানান, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গতকাল ৬০০ জন পোলিং অফিসার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। আজ দ্বিতীয় দিনে ৪৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৯৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন।
প্রশিক্ষিত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৯ জন এবং সদস্য পদে ১৯২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ৪৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।
তাপস কুমার/আরএআর