ভোটের আগের রাতে হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নিহত

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগের রাতে যশোরের শার্শায় প্রতিপক্ষের হামলায় কুতুবউদ্দিন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে রুদ্রপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
কুতুবউদ্দিন একই এলাকার মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন । এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর আরও পাঁচ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা হলেন : কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৩২), একই এলাকার মৃত ফকির চাঁনের ছেলে আলাউদ্দিন (৫০) ও আরশাদ আলী (৬০), আব্বাস আলীর ছেলে ইকতিয়ার আলী (২৫), আফছার আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৪০)। এর মধ্যে আলাউদ্দিনের অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
নিহত কুতুবউদ্দিনের ছোট্ট ভাই শাহাবুদ্দিন জানান, কায়বা ইউপি নির্বাচনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনের কর্মীরা যাতে ভোটের মাঠে না যেতে পারে এ জন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসান ফিরোজ টিংকুর সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ির সামনে মোটরসাইকেলের মহড়া দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভোটের আগের রাতে নৌকা প্রতীকের সমর্থক ইসমাইলের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন কুতুবউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিতে লাগে। এ সময় ইসমাইলের সঙ্গে কুতুব উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রড ও গাছের ডাল দিয়ে নৌকার সমর্থকরা কুতুবউদ্দিনকে মারতে থাকে। কুতুবউদ্দিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আরও ৬-৭ জনকে তারা আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কুতুবউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক নাহিদ শাহরিয়ার সাব্বিব জানান, আহতদের মধ্যে কুতুবউদ্দিনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোরের নাভারণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জাহিদ হাসান/এসকেডি