কাফনের কাপড় নিয়ে প্রচারণা করা বীর মুক্তিযোদ্ধাই হলেন চেয়ারম্যান

গলায় কাফনের কাপড় ঝুলিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহান আলী সরকার। তিনিই এবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহান আলী সরকারের বিশ্বাস ছিল ইউনিয়নবাসী তার সঙ্গে আছে। শুধু যেন ভোট চুরিটা না হয়। কারচুরির মাধ্যমে যাতে গণতন্ত্রকে কেউ হত্যা না করতে পারে সেজন্য গলায় কাফনের কাপড় ঝুলিয়ে ঘুরেছেন তিনি। অবশেষে ভোটের মাঠে তার সেই বিশ্বাসের প্রতিফলনই ঘটেছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে ১ হাজার ২৫৯ ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৩ ভোট আর আ. লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিকুজ্জামান পেয়েছে ৬ হাজার ১২৪ ভোট। রোববার (২৮ নভেম্বর) রাতে মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দা শারমীন সুলতানা বেসরকারিভাবে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
চেয়ারম্যান পদে জয়ী হওয়ায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জাহান আলী বলেন, সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে ছিল বলেই আমি বড় দুই প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলাম। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আমি দেশের মুক্তির জন্য একসময় লড়াই করেছি। এবার আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য লড়াই করেছি। এলাকার মানুষ আমার বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছে। তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র যেন হত্যা না হয়, ভোট চুরি কিংবা ভোটে কারচুরি যাতে না হয় সেজন্য আমি গলায় কাফনের কাপড় ঝুলিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে এবং আমি জয়ী হয়েছি। প্রশাসনকেও ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী জাহান আলী গলায় কাফনের কাপড় ঝুলিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখার পর মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা পোস্ট। এ নিয়ে তার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে ২৩ নভেম্বর ‘যে কারণে কাফনের কাপড় নিয়ে ঘুরছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী’ শিরোনামে সর্বপ্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ঢাকা পোস্ট। এরপর আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে তার বিষয়টি উঠে আসলে এই ইউনিয়নে বাড়তি নজর দেয় প্রশাসন।
উবায়দুল হক/এসপি