নিরাপদ হলো কুয়াকাটা সৈকত

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত— এই স্থান থেকে দেখা মেলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের। ‘সাগরকন্যা’ কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের জিরোপয়েন্টে একযুগ ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাঙা কংক্রিটের অংশবিশেষ অবশেষে অপসারণ করা হয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের যৌথ উদ্যোগে কংক্রিটগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত চলে এ অপসারণের কাজ।

অপসারণ কাজে সহযোগিতা করেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক), ক্যামেরাম্যান ও সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর এই কংক্রিট অপসারণের কাজ করে চায়না কোম্পানি সিকো।

জানা গেছে, এলজিইডির গেস্ট হাউজ কাম বায়োগ্যাস প্লান্ট ভবনটি বালু ক্ষয়ের কবলে পরে সমুদ্রগর্ভে চলে যায়। ভবনটির উপরভাগের অংশবিশেষ সরিয়ে ফেললেও মাটির নিচে কংক্রিটের ভাঙা অংশগুলো থেকে যায়। জোয়ারের পানিতে বালুমাটি সরে গিয়ে ভাঙা টুকরোগুলো সৈকতে জেগে ওঠে। আর এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পর্যটকদের। সমুদ্রে গোসল করতে নেমে আহত হয়েছেন অনেক পর্যটক।

ট্যুরিজম ব্যবসায়ী হোসাইন আমির বলেন, জোয়ারের সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকা কংক্রিটের ভাঙা অংশে আঘাত পেয়ে অনেক পর্যটকরা আহত হয়েছেন। আহত পর্যটকদের কুয়াকাটা সৈকতের প্রতি নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হতো। এখন আর কোনো পর্যটক দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কংক্রিটের ভাঙা অংশ সরিয়ে ফেলায় নিরাপদ সৈকত হিসেবে পরিচিতি পাবে কুয়াকাটা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহরাফ হোসাইন বলেন, শুধু পর্যটকদের নিরাপত্তাই নয়, পর্যটকদের কাছে পরিচ্ছন্ন সৈকত উপহার দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সকলের সহযোগিতায় কাজ করে চলছে। ধারাবাহিকভাবে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা গড়তে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

কাজী সাঈদ/এমএসআর