নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিক্ষুককে নির্যাতনের অভিযোগ

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন খান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এক ভিক্ষুককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই ভিক্ষুক সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগকারী ওই ভিক্ষুকের নাম খলিল খাঁ (৩৫)। তিনি মস্তফাপুর ইউনিয়নের খৈয়রভাঙ্গা এলাকার রশিদ খাঁর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন সোহরাব খান।
অপরদিকে আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পরাজিত হন। এ নির্বাচনে মজিবর রহমানকে সমর্থন করে ভিক্ষুক খলিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খলিলকে শুক্রবার সকালে মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে একা পেয়ে মারধর করে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব খানের ভাই আনোয়ার খান ও তার ছেলে সজিব খানসহ বেশ কয়েকজন। পরে এ ঘটনায় ওই ভিক্ষুক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন।
ভিক্ষুক খলিল অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকালে আমি মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে ভিক্ষা করতে যাই। ভিক্ষা করেই আমার সংসার চলে। বাসস্ট্যান্ডে একা পেয়ে সোহরাব খানের নির্দেশে তার ভাই ও ভাইয়ের ছেলে দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে সবাই মিলে মারধর করে। আমি এ ঘটনার বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত মস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভিক্ষুককে আমি মারধর কেন করব? আমি কিছু করিনি। তবে ওই ভিক্ষুকের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল, যা পুলিশের এক এসআই এসে মীমাংসা করে দিয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নাজমুল মোড়ল/এসপি